বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৫ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা খালাস পাওয়ায় গৌরনদীতে আনন্দ মিছিল বরিশালের বাকেরগঞ্জসহ চারটি থানা এবং উপজেলায় নাগরিক কমিটি গঠন   আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ শান্তিতে থাকবে, এটা অনেকেরই ভালো লাগেনা-এম. জহির উদ্দিন স্বপন তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন
রাজাপুরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার দ্বিতীয় বিয়ে ফাঁস

রাজাপুরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার দ্বিতীয় বিয়ে ফাঁস

দখিনের খবর ডেস্ক ॥ মিথ্যে এবং লুকোচুরি করেও দ্বিতীয় বিয়ে গোপন রাখার তথ্য ফাঁস। ফেঁসে যাচ্ছেন ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জুবায়েত হোসেন। তার বিরুদ্ধে রয়েছে প্রথম স্ত্রীর দায়ের করা একাধিক মামলা। মোকাম বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের ৬৩/১৯ (সদর) নং মোকদ্দমা সূত্রে জানা যায়, মোঃ জুবায়েত হোসেন বাউফল থানাধীন নুরাইন গ্রামের আলতাফ হোসেন হাওলাদারের পুত্র। তিনি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানাধীন কৃষি অফিসে ব্লক সুপারভাইজার পদে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য চাকুরিতে সাময়িক বরখাস্তাদেশে আছেন। কোন কোন মামলায় তিনি একাধিকবার জেল খাটলেও সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ উপায়ে অভিনব কায়দায় বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন। সূত্রে জানা যায়, তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাকে নাকি সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। বিয়ে পাগল জুবায়েত ২০০৪ সালে স্থানীয় বাউফলে বটকাজল গ্রামের এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারের রেশমা আক্তার নিপাকে পারিবারিক ভাবে বিবাহ করেন। তৎসময়ে চাকুরি না থাকার সুবাদে নিপার পরিবারের কাছ থেকে চাকুরি নেয়ার নামে বিভিন্ন সময় ১০ লাখের অধিক টাকা গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে কৃষি অফিসে চাকুরি নেয়ার নামে স্থানীয় গন্যমান্য উপস্থিত আত্মীয়-স্বজনের মোকাবেলায় এককালীন ৪ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। এবং প্রকাশ করেন আমি এই ৪ লাখ টাকা কৃষি অফিসের ঊর্ধ্বতন জনৈক কর্মকর্তাকে উৎকোচ বাবদ হলুদ খামে ভরে উপহার দেব। তাহলেই আমি চাকুরিটা পাব। সরল বিশ্বাসে নিপার পরিবার ধার-দেনা করে জামাই বাবুর হাতে টাকা তুলে দেন। দাম্পত্য জীবনে নিপার ২ সন্তান রয়েছে। ধূরন্দার জুবায়েত টাকা পাবার লোভে বারবার নিপার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে। স্বামীকে সন্তুষ্ট করার জন্য বাবা-ভাইয়ের হাতে পায়ে ধরে যৌতুকলোভ জুবায়েত এর হাতে আবারো নিজের গলার হার, কানের ঝুমকা, হাতের বালা, গলার চেইনসহ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করে। তাতেও খ্যান্ত হয়নি জুবায়েত। মানসিক যন্ত্রনা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে রাত্রি যাপন করতো জুবায়েত। পরে নিপা জানতে পারে রাজাপুরের উত্তর উত্তমপুরে মোসাঃ তামান্না আক্তার নামের এক রমনীকে বিয়ে করেন। অধূনা প্রকাশ পায় যে, রাজাপুরের এক সাংবাদিকের সোহাগ ক্লিনিকে তামান্না এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। যার পিতা জুবায়েত। যা ২১৩/৫১৩৫ নং রেজিস্ট্রারে ০৯-০১-২০২১ তারিখে নিবন্ধিত আছে। বারবার আদালতে দ্বিতীয় বিয়ে অস্বীকার করলেও সোহাগ ক্লিনিকে তিনি বিষয়টি গোপন করেন নি। শুধুমাত্র আদালতের চোখে ধুলা দেয়ার জন্য বারবার তিনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বিচার-ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করছেন। বর্তমানে নিপা এক অসহায় নারী। বাচ্চাদের ভরণ-পোষণ, নিজের স্বামীর অধিকার পাওয়ার জন্য বারবার আদালতের কাঠগড়ায় কচি-কাঁচা বাচ্চাদের নিয়ে হাজির হলেও মিথ্যুক প্রতারক, লম্পট, জুবায়েত’র মনে কোন করুণাই পায়নি। বিচার-ব্যবস্থা চলমান থাকলেও জামিনে বের হয়ে নিপাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। ভরণ পোষণ দেয়া তো দূরের কথা বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আদালতে উপস্থিত হতেও সাঙ্গপাঙ্গসহ দলবল নিয়ে বিভিন্ন ভাবে যাত্রাপথ রুদ্ধ করে বলে মামলা তুলে না নিলে যে কোন সময় অদৃশ্য করে দেবে নিপাকে। এখানেই সে ক্ষ্যান্ত হয়নি দ্বিতীয় বউয়ের বাচ্চা ও তার ছবি আদালতে প্রমাণস্বরূপ দাখিল করার জন্য নিপা সাংবাদিক পাঠালে সেখানে গিয়ে জুবায়েত বাহিনীর হাতে লাঞ্ছিত হন সাংবাদিক। ভেঙে ফেলা হয় ক্যামেরা ও মোবাইল। উদ্দেশ্যে ছিল সকল প্রমাণাদি গায়েব করা। এ ব্যাপারে তাকে একাধিকবার ফোন করলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com